লাবণ্য রাণী পূজা, চকরিয়া :: ঈদকে সামনে রেখে চকরিয়ায় পৌরশহরের বিভিন্ন জায়গায় সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা পণ্যের জমজমাট ব্যবসা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা এসব রোহিঙ্গাদের জন্য বহিবিশ্বের অনুদানকৃত বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এক শ্রেণীর ভাসমান দোকানদাররা সংগ্রহ করে তা দেদারছে বিক্রি করছে চকরিয়া পৌর সদরের বিভিন্ন জায়গায়। আর গ্রাহকরাও সস্তায় এসব লোভনীয় পণ্যে কিনে নিয়ে প্রতারিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় সড়কের পাশে ফুটপাতে ভাসমান দোকানে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ রোহিঙ্গা পণ্য। এসব পণ্যে সমুহের মধ্যে রেয়েছে ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ক্যালসিয়ামে প্যাকেট, অরেঞ্জ ট্যাংক, ম্যাংগো ট্যাংক, জুস, টুথপেস্ট, লাক্স সাবান, লাইফবয়, মেরিল, সেভলন, ডেটল সাবান ও হারপিকসহ শতাধিক বিভিন্ন পণ্য। আর গ্রাহকরাও এসব বিক্রেতাদের লোভনীয় অপারে পড়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছে এসব পণ্যসমুহ।
রোহিঙ্গা পণ্যের ভাসমান দোকানে মালামাল ক্রয় করতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার জানায়, বিভিন্ন দোকানের চাইতে রোহিঙ্গা পণ্যের ভাসমান দোকানে দামের ব্যাপক তফাৎ রয়েছে। সেজন্য বিভিন্ন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ পণ্যের গুনগতমানের দিকে চিন্তা না করে সস্তায় এসব পণ্য কেনার আসায় রোহিঙ্গা পণ্যের ভাসমান দোকানের দিকে ঝুকে পড়েছেন। আবার অনেকে অসচেতনার কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন মালামাল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। প্রশাসনিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পণ্য সরিয়ে ফেলা না হলে গ্রাহকরা আরও বেশী প্রতারিত হবে।
এদিকে রোহিঙ্গা পণ্যের এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
পাঠকের মতামত: